এক নজরে বাংলাদেশ কারা বিভাগ
কারগার আধুনিক সভ্যতায় বন্দিদে সংশোধন ও সুপ্রশিক্ষিত করে সভ্য সমাজের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন কারণে মানুষ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়তে পারে। আইন অনুসারে শাস্তি প্রাদানের পাশাপশি তাকে সংশোধন করে গড়ে তোলার দায়িত্ব বাংলাদেশ কারা বিভাগের। “রাখিব নিরাপদ দেখাব আলোর পথ“ এই মূলমন্ত্রে উজ্জিবিত হয়ে দেশের কারাগার সমূহে আগত বিপথগামী সঠিক প্রেষনা প্রদানের মাধ্যমে তাদের কৃত ভুল বুঝতে পারা ও সংশোধন করা এবং বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সঠিক প্রশিক্ষন প্রদান করে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে সমাজে ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে কারা প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ইতিহাস
কারা বিভাগ বাংলাদেশের একটি সুপ্রাচীন প্রতিষ্ঠান। ১৭৮৮ সালে তৎকালীন শাসকদের দ্বারা একটি ক্রিমিনাল ওয়ার্ড নির্মানের মাধ্যমে ঢাকা কেন্দীয় কারাগারের তথা কারা বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৮১৮ সালে রাজবন্দিদের আটকার্থে বেঙ্গল বিধি জারি করা হয়।১৮৩৬ সালে জেলা ও তৎকালীন মহকুমা সদর ঢাকা, রাজশাহী,যশোর ও কুমিল্লায় কারাগার নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ১৯২৯ সালে ঢাকা ও রাজশাহী কারাগারকে কেন্দীয় কারাগার হিসেবে ঘোষনা দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশে বাংলাদেশ জেল বা বি,ডি,জে এর যাত্রা শুরু হয়।বর্তমানে বাংলাদেশে ১৩ টি কেন্দ্রীয় কারাগার ও ৫৫ টি জেলা কারাগার রয়েছে।
প্রশাসনিক কাঠামো
কারা বিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের criminal justice system এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারা সদর দপ্তর, ৭ টি বিভাগীয় কারা দপ্তর এবং ৬৮ টি কারাগার নিয়ে বাংলাদেশের কারা বিভাগ গঠিত। কারা বিভাগের সকল কাজকর্ম কারা সদর দপ্তর থেকে নিয়োন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়ে থাকে। কারা মহপরিদর্শকের নেতৃত্বে ১ জন অতিঃ কারা মহাপরিদর্শক ও ৮ জন কারা উপ-মহাপরিদর্শকের সমন্বয়ে কারা বিভাগের প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালিত হয়ে থাকে। কারাগার পর্যায়ে জেল সুপার / সিনিয়র জেল সুপার দপ্তর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পাবনা জেলা কারাগারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
পাবনা পৌর এলাকায় আব্দুল হামিদ রোডে ১৮৮২ সালে বর্তমানে পাবনা জেলা কারাগারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কারাগারটি উত্তর বঙ্গে অবস্থিত একটি আদর্শ কারাগার। ৫৭১ জন (পুরুষ ৫৬৪ + ০৭ মহিলা) ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন কারাগারটি আবকাঠামোগত ভাবে সে রকম কোন উন্নয়ন না ঘটলেও বিভন্ন সময়ে এর প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও বন্দী কল্যানের স্বীকৃতি সরুপ ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিতব্য “কারা সপ্তাহ/২০০৮“ এ ছোট কারাগারগুলির মধ্যে বন্দী কল্যানের স্বীকৃতি স্বরুপ দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। এছাড়াও বাংলাদেশ একমাত্র মানসিক হাসপাতাল পাবনা জেলায় অবস্থিত হওয়ায় প্রতিনিয়তই বাংলাদেশের বিভিন্ন কারাগার হতে মানসিক সমস্যা গ্রস্থ বন্দীরা অত্র কারাগারে বদলী এসে স্থানীয় কারা প্রশাসন এবং মানসিক হাসপাতালের যৌথ প্রচেষ্ঠায় উন্নত চিকিৎসা সেবা শেষে তাদের নিজ নিজ কারাগারে ফেরত যাচ্ছে যা এই কারাগারের গুরুত্ব কে অনেক গুনে বাড়িয়ে তুলেছে।
কারাগারের আয়তন
ভুমির পরিমান - ৯.৮২ একর।
কারাভ্যান্তরে ভূমির পরিমান - ৪.৬৭ একর।
কারা বহিঃস্থ ভূমির পরিমান - ৫.১৫ একর।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস